BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আমরা মূলত ব্লগস্পট (BlogSpot) এর SEO করার জন্য গুগল ব্লগার প্লাটফর্মে SEO যত সহজে করতে পারি অন্য ব্লগার প্লাটফর্মে SEO তত সহজে করা যায় না। কারণ গুগল তার এসইও সংক্রান্ত সকল প্রয়োজনীয় উপাদান সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে গুগল ব্লগার ড্যাশবোর্ডের ভীতরেই রেখে দিয়েছে।

সুতরাং, আমাদের বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী সেট করতে পারলেই ব্লগের অধিকাংশ এসইও করা হয়ে যায়।

আমরা যারা নতুন ব্লগ করা শুরু করেছি বা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের অধিকাংশই ব্লগের এসইও এর বেসিক বিষয়গুলো জানা না থাকার কারনে ব্লগের এসইও করতে পারে না। তাই আপনি ব্লগিং একদম নতুন শুরু করে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ার পর আপনি নিজে থেকেই আপনার নতুন ব্লগের কিছু পরিমান এসইও করে নিতে পারবেন। তবে বলে রাখা প্রয়োজন যে, এখানে পূণাঙ্গ এসইও নিয়ে কোন আলোচনা করা হয়নি। শুধু মাত্র গুগলের বেসিক এসইও নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

ব্লগস্পট (BlogSpot) এর SEO:

সাধারণত একটি ব্লগ পরিপূর্ণ এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য যে সকল ধাপ সম্পূর্ণ করতে হয় তা হল থিম অপটিমাইজেশন, ব্লগ পোস্ট অপটিমাইজেশন এবং এক্সটারন্যাল বিষয়। এখানে আমরা থিম অপটিমাইজেশন ও ব্লগ পোস্ট অপটিমাইজেশন এই দুইটি বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা করব।

১. Meta Description (Home Page):

গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে ব্লগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারনা লাভের জন্য Meta Description লিখা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার ব্লগে কোন বিষয়ের উপর লিখছেন বা ব্লগ পোস্টে কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল শেয়ার করছেন সেই বিষয়গুলো সংক্ষেপে বুঝানোর জন্য Meta Description দেওয়া হয়ে থাকে।

এই Meta Description এর কারনে গুগল সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজে একটি ব্লগের বিষয় বস্তু সম্পর্কে ধারনা নিতে পারে। সাধারণত ব্লগার সাইট Meta Description লিখার জন্য স্পেস সহ সর্বমোট ১৫০ অক্ষর বলে থাকে। কারণ সার্চ ইঞ্জিন এর অধিক সংখ্যক অক্ষর সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করে না।

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
Meta Description (Home Page)
Meta Description যুক্ত করার জন্য:-

  • প্রথমে ব্লগার সাইটে লগইন করুণ।
  • তারপর ব্লগারে যে ড্যাশবোর্ড রয়েছে সেখান থেকে ‍Settings এ ক্লিক করুন।
  • এরপর নিচের দিকে গেলে Meta tags এর অধীনে Meta Description অপশনটি দেখতে পাবেন।
  • এখানে Enable search description অপশনটি Enable করার পর Meta Description এ আপনার ব্লগের মূল বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে ১৫০ অক্ষরে বিষয় লিখতে হবে।
  • তারপর Save বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।

২. Meta Description (Post Page):

গুগল ব্লগার ব্লগ পোস্টে Meta Description যুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত কোনো বেগ পহাতে হয় না। খুব সহজে Meta Description লিখা যুক্ত করা যায়।

  • আপনি যে পোস্ট এ Meta Description লিখা যুক্ত করতে চান সেই পোস্টে প্রথমে প্রবেশ করতে হবে।

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
Meta Description

  • তারপর সেই পোস্টের ডান পাশে Search Description নামে যে অপশনটি আছে, সেই অপশনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রটি দেখা যাবে।

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
Meta Description

  • উপরের চিত্রের বক্সে ১৫০ অক্ষরের মধ্যে পোস্টের মূল বিষয় সংক্ষেপে লিখতে হবে।

৩. Crawlers and indexing:

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
Crawlers and indexing

এখানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অপশন রয়েছে। একটি অপশন হচ্ছে Robots.txt এবং অপরটি হচ্ছে Robots Header Tags। এই অপশন দুটি ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনকে ব্লগের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা যায়। সেই নির্দেশনা মোতাবেক সার্চ ইঞ্জিন ব্লগের কনটেন্ট index করে থাকে। তাই কোন ভাবে যেন অপশন দুটি ভুল না হয় এতে করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার পোস্ট গুলোকে উপেক্ষা করতে পারে।

৪. ব্লগ পোস্টের Custom URL গঠন:

ব্লগ পোস্টের Custom URL গঠন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ সার্চ ইঞ্জিন একজন ভিজিটরকে URL বা Link এর মাধ্যমে যে কোন ব্লগের পোস্টে পৌছে দেয়। অনেক ভিজিটর পোস্টের লিংক মনে রেখে পুনরায় সরাসরি ঐ পোস্টে ভিজিট করে।

আপনি যখন ব্লগে একটি নতুন পোস্ট করবেন তখন পোস্ট পাবলিশ করার পূর্বে URL পোস্টের বিষয়ে সাথে মিল রেখে ৫০ টি অক্ষরের মধ্যে সুন্দরভাবে গঠন করতে হবে। সেই সাথে পোস্টের URL এর ভিতরের অংশে কোন প্রকার কমা, সেমিকোলন ব্যবহার করা যাবে না। অনেকে নিজের ইচ্ছা মত লিখে পোস্ট করে বিধায় সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে গ্রহণ যোগ্যতা হারায়।

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
Custom URL গঠন

উপরের চিত্রে দেখুন আপনার পোস্টের ডান পাশে Permalink নামে একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করে পছন্দ মত URL গঠন করে নিতে পারবেন। তবে কোন পোস্ট একবার পাবলিশ হয়ে গেলে সেই লিংক URL বা Permalink পুনরায় কাস্টমাইজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা পহাতে হয়। তাই পোস্ট পাবলিশ করার পূর্বে ভালভাবে Permalink এ  লিংক গঠন করে নেওয়াটাই উত্তম।

৫. ব্লগ পোস্ট টাইটেল অপটিমাইজেশন:

একটি সাবলিল সুন্দর ও মানানসই অপটিমাইজ করা ব্লগ পোস্ট যে কোন সার্চ ইঞ্জিন রোবটের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। সার্চ ইঞ্জিন রোবটগুলি একজন মানুষের মত ভাল-খারাপ সহজে যাচাই-বাছাই করতে পারে।

এতে করে আপনি যদি ভাল মানের আটির্কেল নিয়ে লিখেন তখন সার্চ রোবট আপনার আর্টিকেলের টাইটেল পছন্দ করে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টে সহজে নিয়ে আসবে। আসলে ব্লগে টাইটেল অপটিমাইজ করার অনেক বিষয় রয়েছে। তাই প্রথমে আপনার ব্লগার থিমস এর অভ্যন্তরে থাকা টাইটেল ট্যাগটি সঠিকভাবে সেট করে নিতে হবে। ব্লগের টাইটের ট্যাগ সেট করার জন্য যা করতে হবে:-

  • প্রথমে ব্লগে লগইন করতে হবে
  • তারপর ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Theme>Edit HTML এ ক্লিক করুন।
  • তারপর কীবোর্ড হতে Ctrl+F চেপে <title> অংশটি সার্চ করুন।

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ব্লগ পোস্ট টাইটেল অপটিমাইজেশন
  • এখানে <title> এর সম্পূর্ণ ট্যাগটি ডিলিট করে উপরের সম্পূর্ণ ট্যাগটি সেট করুন।

৬. পোষ্টের Image অপটিমাইজেশন:

ব্লগ পোষ্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে Image। যে কোন বিষয় সম্পর্কে পাঠকদের সুনির্দিষ্ট ধারনা দেওয়ার জন্য ব্লগ পোষ্টে Image ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এমন কিছু পোষ্ট থাকে যে গুলোতে Image ব্যবহার না করলে পাঠকদের সুস্পষ্ট ধারনা দেয়া সম্ভব হয় না। অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিনও আপনার ব্লগে সকল Image গুলোকে আলাদা ভাবে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসে।

গুগলে যখন আমরা কোন কিছু সার্চ করি তখন আমরা Google Search এর সার্চ রেজাল্টে Image নামে আলাদা একটি ট্যাব থাকে। যেখানে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী অনেক প্রয়োজনীয় Image পাওয়া যায়। আপনি যদি ব্লগের Image গুলো সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলী করে লিখেন তাহলে ঐ Image থেকে অনেক ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্লগের Image এ বিভিন্ন ধরনের Alt tag ও Caption এর মাধ্যমে Optimize করা যায়। 

আর Image Optimize করার জন্য প্রথমে Image এ Alt tag যুক্ত করতে হবে। কারণ সার্চ ইঞ্জিন সাইট Crawl করার সময় Image পড়তে পারে না। অর্থাৎ ঐ Image টি দ্বারা কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা বুঝতে পারে না, যদি না আপনি Image টি সঠিকভাবে অপটিমাইজ করেন। এই সমষ্যা সমাধানের জন্য আপনি Image গুলোতে সঠিকভাবে Alt tag এবং File Names ব্যবহার করার মাধ্যমে অপটিমাইজ করতে পারেন।

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
Image অপটিমাইজেশন

Image এ Alt tag যুক্ত করতে হলে- প্রথমে Image Upload করার পর Image এর উপর ক্লিক করলে অপশনে দেখতে পাবেন Alt text ও Title text দেখতে পাবেন। এই দুই স্থানে আপনার পোস্টের মূল অংশ সংক্ষেপে লিখে দিলেই  Image Optimize করা হয়ে যাবে।

ব্লগ পোষ্টের Image গুলো আরও বেশি অপটিমাইজ করতে চাইলে ছবিতে Caption যুক্ত করে দিতে পারেন। এর ফলে পাঠক এবং সার্চ ইঞ্জিন উভয়ই বুঝতে পারবে যে, আপনি এই ইমেজটি দ্বারা কি বুঝাতে চাচ্ছেন।

৭. পোষ্টের লিংক Attributions:

সাধারণত একটি লিংকের Nofollow এবং Dofollow দুই ধরনের Attributions থাকে। Nofollow লিংকের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে ঐ ধরনের লিংকটিকে অনুসরণ না করার জন্য কমান্ড করা হয়ে থাকে। অপর দিকে Dofollow লিংক এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে লিংকটিকে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

গুগল ব্লগারে Anchor Text বা লিংক তৈরি করা খুবই সহজ। আপনি যে লেখার সাথে লিংক করতে চান সেই লেখাটি সিলেক্ট করে লিংক অপশনে ক্লিক করলে লিংক তৈরির অপশন সহ আরো কিছু বাড়তি অপশন পেয়ে যাবেন । আমরা জানি যে, কোন লেখার সাথে নিজের ব্লগের লিংক তৈরির ক্ষেত্রে সেটিকে Dofollow হিসেবে দেই। Dofollow লিংক তৈরির ক্ষেত্রে বাড়তি কোন কাজ করতে হয় না। লিংক এর অপশনের কাঙ্খিত লিংকটি দিয়ে ওকে বটন ক্লিক করলেই হয়ে যায়।

আবার আমরা জানি যে, অন্য কোন ব্লগের লিংক নিজের ব্লগের সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সেটিকে Nofollow লিংক হিসেবে গঠন করে থাকি।

৮. পোষ্টের Label and Related Post:

আমরা সাধারণত প্রত্যেকটি পোস্টের বিষয়ের সাথে মিল রেখে একটি বা দুটি Label যুক্ত করে থাকি। ব্লগ পোস্টে  Label যুক্ত করার ফলে এক সাথে অনেক গুলো কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। প্রথমত বিষয় অনুসারে ব্লগের পোষ্টগুলো আলাদা করে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত সার্চ ইঞ্জিনও অনেক সময় পোষ্টের Label অনুসারে পোষ্টকে আলাদাভাবে সার্চ এলগরিদমে সাজিয়ে রেখে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করে। তৃতীয়ত ব্লগের নিচের দিকে Related Post ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও Label গুলো পোস্ট প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কাজ করে।

ব্লগ পোস্টের ডান পাশের Label অপশনে ক্লিক করে খুব সহজে পোস্টের Label লিখতে পারেন অথবা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। 

  ৯. পোস্টের Keyword Density:

সাধারনত একটি পোস্টের অভ্যন্তরে যতগুলো শব্দ লিখা থাকে সেগুলোর মধ্যে ঐ পোস্টের কাঙিখত Keyword টি কতবার লিখা হয়েছে সেটি দ্বারাই Keyword Density কে নির্দেশ করে। এটি হতে পারে একটি মাত্র শব্দ বা ফ্রেইজ, যা দ্বারা আপনি সার্চ ইঞ্জিন এবং ভিজিটরদের টার্গেট করেছেন।

১০. ব্লগের কমেন্ট Nofollow করা:

সাধারণত প্রত্যেকটি ব্লগের কমেন্ট সেকশন ডিফল্ট আকারে Nofollow থাকে। তবে আপনি যদি কাস্টম ব্লগার থিমস ব্যবহার করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার ব্লগটির কমেন্ট সেকশন Nofollow হিসেবে আছে নাকি Dofollow ফরমেটে আছে সেটি নিশ্চিত হয়ে নিবেন। কারণ অনেক কাস্টম থিমস ডেভেলপার ইচ্ছাকৃতভাবে ব্লগের কমেন্ট সেকশন Dofollow করে রাখেন।

BlogSpot এর SEO নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ব্লগের কমেন্ট Nofollow করা

আপনার ব্লগের থিমস এর ভীতরে উপরের কোডটি খোঁজে পেলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার ব্লগটি Nofollow ফরমেটে আছে। উপরের লাইনটি না পাওয়া গেলে কমেন্ট সেকশনে উপরের কোডটি যুক্ত করে নিবেন। কারণ কমেন্ট সেকশন Dofollow হিসেবে থাকলে আপনার ব্লগে কমেন্টকারী কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার কাঙ্খিত পোস্ট হতে কিছুটা লিংক জুস কেড়ে নিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনার পোস্টটি কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সবশেষে যেহেতু গুগল ব্লগার ব্লগ হচ্ছে গুগলের এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস। গুগল ডেভেলপার টিম নিজ হাতে এর সকল কাজ সম্পন্ন করে থাকে। কাজেই গুগল ডেভেলপার টিম সার্চ ইঞ্জিন এর প্রয়োজনীয় সকল উপাদানের সমন্বয়েই সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী করে এটি তৈরি করেছে। আমরা শুধুমাত্র এর সঠিক ব্যবহার যদি করতে পারি তাহলে অন্য যে কোন প্লাটফর্মের চাইতে সহজে গুগল সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর পেতে সক্ষম হব।

Info BD Teach সকল আপডেট পেতে ফলো করুন গুগল নিউজ চ্যানেল

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url